ইনব্রিডিং" কি? এবং এর কুফলতা কি তা সম্পর্কে বলব।
অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে ইনব্রিডিং কি?
"ইনব্রিডিং" (Inbreeding) বা অন্তঃপ্রজনন।
রক্তের সম্পর্কের সাথে breeding ফলে যে বাচ্চা জন্ম নিচ্ছে সেটাই ইনব্রিডিং।
ইনব্রিডিং হচ্ছে জেনেটিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিকট সম্পর্কযুক্ত পিতামাতা হতে প্রজন্মের সৃষ্টি। যেমন
ক) ভাই x বোন = ইনব্রিড
খ) মা x ছেলে = ইনব্রিড
গ) বাবা x মেয়ে = ইনব্রিড
এভাবে বংশ পরম্পরায় যদি হতে থাকে সেটা ইনব্রিডিং।
প্রাণীর মধ্যে পুনঃপুনঃ প্রজনন হলে ইনব্রিডিং প্রানী তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে প্রজাতির সংখ্যা কমে আসায় অন্তঃপ্রজনন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আমাদের প্রাণিসম্পদের সর্বক্ষেত্রেই ইনব্রিডিং সমস্যার প্রকট আকারে ধারন করেছে।
1) উন্নত জাত থেকে অনুন্নত জাতে পরিনত হয়।
2) শাররীক বৃদ্ধির হার খুবই কম ও দূর্বল প্রকৃতির হয় এবং খর্বাকৃতি আকারের হয়।
3) জন্মগত ত্রুটি, শাররীক বিকলাঙ্গতা চলাফেরা অসামঞ্জস্যতা,
4) শরীরে পালকের আধিক্য।
5) জন্ম অন্ধত্ব।
6) বাচ্চার উচ্চ মৃত্যুহার।
7) নিম্নতর জন্ম ওজনে জন্ম নেয়া।

9) শুক্রাণুর উর্বরতা কম।
10) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
11) ডিমে ভ্রুন না আসা।
12) পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারা।
13) প্রতি জেনারেশনেই ২৫% জেনেটিক গুনাগুন হ্রাস পায়।
"এর থেকে প্রতিকারের উপায় হচ্ছে ইনব্রিডিং না করিয়ে আউট ব্রিডিং করানো"
যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক নাই তাদের মধ্যে breeding হল আউট ব্রিডিং (outbreeding) পদ্ধতি।
Comments
Post a Comment